ইলন মাস্ক
১৯৯৯ সালে, মাত্র ২৭ বছর বয়সে, ইলন মাস্ক তাঁর প্রথম কোম্পানি জিপটু ৩০৭ মিলিয়ন ডলারে কম্প্যাকের কাছে বিক্রি করেন। এতে তিনি ৭% শেয়ারের জন্য ২২ মিলিয়ন ডলার পান। কিন্তু এই টাকা ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় না করে, তিনি ১২ মিলিয়ন ডলার একটি অনলাইন ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগ করেন, যার নাম ছিল X.com—পরবর্তীতে যা পেপ্যাল নামে পরিচিত হয়। বর্তমানে মাস্ক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, টেসলা, স্পেসএক্স এবং আরও বেশ কিছু প্রযুক্তি কোম্পানির শেয়ারের কারণে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
ল্যারি এলিসন
ওরাকল কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন ১৯৮০-র দশকের শুরুতে তাঁর প্রথম এক মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেন, যখন তাঁর কোম্পানি ডাটাবেস সফটওয়্যার বিক্রি করে লাভ করতে শুরু করে। কিন্তু এই অর্থ ব্যক্তিগত ভোগ-বিলাসে না খরচ করে, এলিসন এটি ওরাকলের উন্নয়নে পুনর্বিনিয়োগ করেন, যা পরবর্তীতে এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যারের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিতে পরিণত হয়। বর্তমানে এলিসনের মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫৪ বিলিয়ন ডলার, যা তাঁকে ওলন মাস্কের পর বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তিতে পরিণত করেছে।
জেফ বেজোস
১৯৯৮ সালে, আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস একটি অপেক্ষাকৃত অজানা কোম্পানি গুগলে ২৫০,০০০ ডলার বিনিয়োগ করেন। ২০০৪ সালে গুগল পাবলিক হওয়ার সময় এটি থেকে তিনি প্রায় ৩.৩ মিলিয়ন ডলার লাভ করেন। তবে এই টাকা তিনি নিজের প্রয়োজনে ব্যয় না করে আমাজনের সম্প্রসারণে পুনর্বিনিয়োগ করেন—যেখানে প্রোডাক্ট লাইন বাড়ানো এবং লজিস্টিকস উন্নয়ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০২৫ সালের মধ্যে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, যা তাঁকে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান করে দিয়েছে।
মার্ক জাকারবার্গ
২০০৭ সালে, যখন ফেসবুক কেবল জনপ্রিয়তা অর্জন করছিল, তখন মাত্র ২৩ বছর বয়সে মার্ক জাকারবার্গ মাইক্রোসফটের বিনিয়োগ থেকে প্রথম এক মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেন। মাইক্রোসফট তখন ফেসবুকে ১৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল। তবে জাকারবার্গ সেই অর্থ খরচ না করে তা প্ল্যাটফর্মটির উন্নয়নে ব্যয় করেন—ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ ও পরিকাঠামো সম্প্রসারণ করেন। এই কৌশলগত সিদ্ধান্ত ২০১২ সালে ফেসবুককে পাবলিক হওয়ার পথ তৈরি করে এবং এটিকে এক বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি জায়ান্টে পরিণত করে। ২০২৫ সালে জাকারবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ২৪২ বিলিয়ন ডলার।
ওয়ারেন বাফেট
১৯৬১ সালে, ৩১ বছর বয়সে, ওয়ারেন বাফেট ডেম্পস্টার মিল নামক একটি উইন্ডমিল ও কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে ১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেন। ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তন ও পুনর্গঠনের পর, তিনি এই কোম্পানিটি প্রায় তিনগুণ দামে বিক্রি করেন, যা তাঁকে একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বিনিয়োগকারী হিসেবে পরিচিতি দেয়। ১৯৬৫ সালে, বাফেট বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের নিয়ন্ত্রণ নেন, যেটি তখন একটি টেক্সটাইল ফ্যাক্টরি ছিল। পরে তিনি এটিকে এক বিশাল বিনিয়োগ সাম্রাজ্যে রূপান্তর করেন। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৫৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
ল্যারি পেইজ
১৯৯৮ সালে, ল্যারি পেইজ তাঁর প্রথম মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পান এবং এই অর্থ গুগলের উন্নয়নে কাজে লাগান: যার মধ্যে অফিস ভাড়া, সার্ভার কেনা, এবং মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বিনিয়োগ গুগলের ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ে তোলে। বর্তমানে পেইজ অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেটেডের (গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি) অন্যতম প্রধান শেয়ারহোল্ডার এবং বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের মধ্যে রয়েছেন, যার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৪৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
বার্নার্ড আর্নো
১৯৮৪ সালে, ৩৫ বছর বয়সী ফরাসি ব্যবসায়ী বার্নার্ড আর্নো দেউলিয়া হয়ে যাওয়া টেক্সটাইল গ্রুপ Boussac Saint-Freres অধিগ্রহণ করেন, যার অন্তর্ভুক্ত ছিল ফ্যাশন হাউস ক্রিস্টিয়ান ডিওর। সম্পদ বিক্রি করে আয়কৃত অর্থ দিয়ে তিনি ডিওরের উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন, যা পরে তাঁর সাম্রাজ্যের ভিত্তি হয়ে ওঠে। পরে তিনি LVMH-এর চেয়ারম্যান ও সিইও হন, যা বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল পণ্যের গ্রুপ এবং ৭৫টিরও বেশি ব্র্যান্ডের মালিক। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৪১ বিলিয়ন ডলার।
-
Grand Choice
Contest by
InstaForexInstaForex always strives to help you
fulfill your biggest dreams.প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
চ্যান্সি ডিপোজিটআপনার অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করুন এবং $4000 এর অধিক নিন!
চ্যান্সি ডিপোজিট প্রচারাভিযানে আমরা জুলাই $4000 লটারি করেছি! একটি ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে $3,000 জমা করে এই অর্থ জেতার একটি সুযোগ নিন! এই শর্ত পূরণ করে, আপনি একজন অংশগ্রহণকারী হতে পারবেন।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন -
বুদ্ধিমত্তার সাথে ট্রেড করুন, ডিভাইস জিতুনআপনার অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে $৫০০ টপ আপ করুন, প্রতিযোগিতার জন্য সাইন আপ করুন এবং মোবাইল ডিভাইস জেতার সুযোগ পান।প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করুন